নগর উন্নয়নে সামাজের ভুমিকা

শহরের উন্নয়নে স্থায়ী নাগরিকদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন । একান্ত সুনাগরিকগণ শহরকে বাসযোগ করে তুলতে সহায়তা করতে পারে । পরিকল্পনা এবং সমবায় সমিতির মাধ্যমে শহরের উন্নয়ন । প্রতিটি এলাকার বাসিন্দাগণ শহরের ভাল মন্দ বোঝার ক্ষমতা রাখে । নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে পরিবারের বিভিন্ন সদস্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে শহরের পরিবর্তন একান্ত কাম্য । আমাদের আশেপাশের অবস্থান ভাল মন্দ আমরা ভাল বুঝতে পারি যা কমিশনা বা মেয়র অবগত নয় । বেশীর ভাগ মেয়র বা কমিশনার তাদের ভোটের জন্য লোকদেখানো দায়সারা কাজে ব্যাস্ত এবং সাথে তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের সাহায্যের জন্য নামমাত্র উন্নয়ের বদাদ্দ নিয়ে পকেট ভারি করতে সফলতা পায় যা দীর্ঘ দিনের নয় । শহরে বস্তি এবং নিম্ন আয়ে মানুষদের নামে পকেট হাতিয়ে নিচ্ছে পুজিবাদী সমাজ । প্রয়োজনের বেশী ভাড়া দিলেও নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এবং নগরের পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে তাদের স্থায়ী নিবাস এবং সুন্দর পরিবেশ তাদের জীবনের পরিবর্তন আনতে পারে যা হতে পারে সন্ত্রাস মুক্ত সমাজের মডেল । কিছু প্রভাবশালী লোক নিম্ন আয়ের মানুষদের দারিদ্রের সুবিধা নিয়ে তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে সফলতা পায় ফলে তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং সামাজিক অবহেলার স্বীকার । নগরের প্রতিটি বাসিন্দা এ দেশের নাগরিক তাদের মৌলিক চাহিদা মিটানো ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে সকলের দায়িত্ত্ব । ইসলাম আমাদের যেখানে প্রতিবেশীদের হকের কথা বলেছে বা ভ্রাতৃত্তের কথা বলছেন তার কতুটুকু আমরা পুরন করতে পারছি । অথচ আমাদের ইমাম সমাজ যতটুকু মসজিদের দানের জন্য উদগ্রেব ততটুকু নয় দরিদ্র মানুষে ভাগ্য পরিবর্তনে অথচ সমাজের প্রতিটি মানুষের সহায়তার ফলে কোন এক দরিদ্র পরিবার তার ভাগ্য পরিবর্তনে সফলতা পেতে পারে যা সমাজের স্থায়ী পরিবর্তনের সহায়তা করতে পারে । ইসলামের আলোকে প্রতিটি মসজিদে দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একটি ফান্ড থাকা জরুরী যা তাদের স্থায়ী সমাধান বা কর্মসংস্থানে সহায়তা করতে পারে বা দারিদ্র বিমোচনে সফলতা দিবে।

Comments

Popular posts from this blog